ব্রণ দূর করার উপায়, ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যই হলো আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু। ব্রণ হলে চেহারা দেখতে যেমন বিকৃত দেখায় তেমনি সৌন্দর্য নষ্ট করে। ব্রণের কারণে অনেকেই বন্ধু মহলে মেলামেশা করতে লজ্জিত বোধ করেন। কিন্তু সমাধান কি এই বিরক্তিকর ব্রণের? মুখে ব্রণ কমানোর উপায় নিয়েই আলোচনা করবো আজকের পোস্টে।
মুখে ব্রণ কমানোর উপায়, ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে বিষয় সামনে আসে তা হলো ত্বককে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এরপর মুখে ব্রণ কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারি যেমন ব্রণ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করা, ব্রণ দূর করার ঔষধ ব্যবহার করা সহ ইত্যাদি উপায় অবলম্বন করতে পারি।
- ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
- ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়
- মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার ক্রিম
- মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম
- মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
ব্রণ কেন হয়, ব্রণ দূর করার উপায়
মুখের ত্বক শরীরের ত্বকের চেয়ে কোমল ও নরম হওয়ায় সামান্য কারণে মুখের ত্বকে ব্রণ হতে পারে। ব্রণ হওয়ার প্রধান প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো মুখে ময়লা জমে থাকা, অতিরিক্ত রৌদ্রে যাওয়া, পরিমিত না ঘুমানো, বদহজম হওয়া ইত্যাদি। অনেক সময় অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তার কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও মুখে ব্রণ হয়। তবে কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণে মুখের ব্রণ দূর করা সম্ভব।
ব্রণ হওয়ার ১০ টি কারণ-
- দৈনিক পরিমিত না ঘুমানো
- বদহজম হওয়া
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
- অধিক ব্লাড প্রেসার
- ধুমপান করা
- জেনেটিক কারণে
- মানসিক কারণে
- সংক্রমণের কারণে
- হরমোন জনিত সমস্যার কারণে
- হেয়ার স্প্রে ব্যবহার
নাকে ও নাকের চারপাশে ব্রণ হবার কারণ
- স্ট্রেস বা চাপ প্রয়োগ করা
- তৈলাক্ত ত্বকের কারণে
- ডায়েট এ অনিয়ম করা
- অধিক ব্লাড প্রেসার থাকার কারণে
দুই ব্র এর মাঝখানে ব্রণ হবার কারণ
- ফুড অ্যালার্জি সমস্যা হওয়া
- অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া
- ব্রস ওয়াক্স করার কারণে
- ধূমপান এবং এলকোহলের বদঅভ্যেস থাকলে
গালে ব্রণ হবার কারণ
- বদহজম হওয়ার কারণে
- অপরিষ্কার মেকাপ ব্রাশ ব্যবহার করা
- ধূমপান বা এলকোহলের বদঅভ্যেস
- ময়লা বালিশ ব্যবহার করা
চিন বা জওলাইন এ ব্রণ হবার কারণ
- হরমোনাল ইমব্যালেন্স সমস্যার কারণে
- ডায়েট মেনে না চললে
কানে বা কানের আশেপাশে ব্রণ হবার কারণ
- ডিহাইড্রেসন হওয়া
- স্ট্রেস বা চাপ প্রয়োগ করা
- ব্যক্টেরিয়ার ইনফেকশন হওয়ার কারণে
- হরমোন জনিত সমস্যার কারণে
- মেকাপ প্রডাক্ট এর রিয়েকশন হলে
কপালে ব্রণ কেন হয়
- কপালে ব্রণ হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো-
- হেয়ার স্প্রে ব্যবহার
- হেয়ার স্ট্রেইটনার
- হিটার
- হাইলি ইফেক্টিভ হেয়ার ট্রিটমেন্ট
- হেয়ার লাইনের পোরস
- অতিরিক্ত মাথায় ক্যাপ ব্যবহার করা
- স্ট্রেস বা চাপ প্রয়োগ
- অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়া
ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রধান ১১টি কারণ
হেয়ার স্প্রে ব্যবহারঃ আমরা মাঝে মাঝে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য অথবা চুলের সাইনিং বা কালার করার জন্য নানান রকমের হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে থাকি। এগুলোর কারণে আমাদের কপালে ব্রণ হতে পারে।
হেয়ার স্ট্রেইটনারঃ হেয়ার স্ট্রেইটনার এর ফলে আমাদের কপালে ব্রণ হতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ হেয়ার স্ট্রেইটনারের ব্যবহার পরিমিত করা। কেননা অতিরিক্ত হেয়ার স্ট্রেইটনার আপনার কপালের ব্রণ জন্মানো জন্যই যথেষ্ট।
হিটারঃ আমরা চুলের বিভিন্ন শেইপ দেওয়ার জন্য চলের হিটার ব্যবহার করে থাকি। এটা আমাদের মুখের ও কপালের ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে কপালে ব্রণ জন্মাতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ হিটার ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা।
হাইলি ইফেক্টিভ হেয়ার ট্রিটমেন্টঃ হাইলি ইফেক্টিভ হেয়ার ট্রিটমেন্ট করার ফলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আপনার ত্বকে ব্রণ বেরোনোর জন্য হাইলি ইফেক্টিভ হেয়ার ট্রিটমেন্টই যথেষ্ট। তাই আমাদের এসকল বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
হেয়ার লাইনের পোরসঃ আমরা হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরে আমাদের লোমকূপে জমে থাকা হেয়ার প্রোডাক্টের অংশগুলোকে হেয়ার লাইনের পোরস বা পোরস ক্লগ বলে। এই পোরস ক্লগ এর ফলে কপালে ও ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তাই সবসময় পোরস ক্লগ হওয়া থেকে বাঁচতে আমাদের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
অতিরিক্ত মাথায় ক্যাপ ব্যবহার করাঃ অতিরিক্ত মাথায় ক্যাপ ব্যবহারের ফলে মাথায় ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। আবার মাথায় বাতাস প্রবেশ করতে না পারায় মাথা গরম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্রণ হওটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই ক্যাপ ব্যবহার করবেন নির্দিষ্ঠ সময়ের জন্য। অতিরিক্ত ক্যাপ ব্যবহার করবেন না।
অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়াঃ অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তাই আমরা অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবো।
হরমোন জনিত সমস্যাঃ পিরিয়ড অথবা বয়ঃসন্ধিকালে দেহের হরমোনের তারতম্যের কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। এ সময় শরীরে অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত সিবাম তৈরি হয় ফলে আমাদের ত্বকে সহজেই ব্রণ জন্মাতে পারে।
জেনেটিক সমস্যার কারণেঃ অনেক সময় জেনেটিক সমস্যার কারণেও ত্বকে ব্রণ হতে পারে। জেনেটিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম TNF আলফা, IL-1 আলফা ইত্যাদি দ্বায়ী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মানসিক সমস্যার কারণঃ মানসিক সমস্যার কারণেও বিভিন্ন সময়ে ত্বকে ব্রণ জন্মাতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম অতিরিক্ত টেনশন করা সহ ইত্যাদি কারণ।
সংক্রমণের কারণেঃ Propionibacterium acnes একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা মুখের ত্বকে ব্রণ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এরমত হাজারো অনুজীবীবের কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ দূর করার উপায়
- নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
- মুখের ত্বকে নখ দিয়ে না চুলকানো
- বেশি বেশি পানি পান করা
- বাইরের খাবার কম খাওয়া
- দৈনিক পরিমিত ঘুমানো
- লো কোয়ালিটির ফেসওয়াশ ব্যবহার না করা
- মুখের ত্বকে অতিরিক্ত মেকাপ ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করা
- শারিরীক ব্যায়াম করা
- নিয়মিত ব্লাকহেডস পরিষ্কার করা
- ঘুমানোর পূর্বে বিছানা ও বালিশ পরিষ্কার করা
ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
- Nomark
- Fona Plus
- Adaben Duo Gel
- Acnegel
- Clinex 1% w/v
- Clindax Lotion 1%
- Clindacin Lotion 1%
- Propionibacterium acnes
ব্রণ দূর করার ক্রিম
- মেছতা গার্ড
- ব্রণ কিউর
- বেটনোভেট
- আফটান ফেসপ্যাক
- মিডারমা
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
- Fona cream plat
- Adgar gel
- Pimplex cream
- Adagel plus
- Fona Plus
- Nomark gel
- Freshlook
- Adaben Duo Gel
- Aclene Plus Gel
- acnegal
পরিশেষে
আমি এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে জানিয়েছি ব্রণ হওয়ার কারণ সমূহ এবং ব্রণ হলে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আজকের পোস্টটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে ও উপকারে আসছে। আপনার মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। নতুন নতুন আপডেট পেতে দৈনিক ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। সবাই সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।